‘নেমে দেখি ভেতরে ৪০ জনের মতো, সবার শরীরে আগুন’
রাত সোয়া ৮ টায় এশার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। অনেক মুসল্লি অন্যান্য নামাজ আদায় করছিলেন। আমি তখন নামাজ শেষ করে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় আছি। এসময় বিকট আওয়াজ হয়। আমি বিদ্যুত চলে যাওয়ায় আটকে পড়ি। কিছুক্ষণ পর আমি নেমে দেখি ভেতরে ৪০ জনের মতো সবার শরীরে আগুন। এসময় পুরো মসজিদ ধোয়াচ্ছন্ন হয়েছিল। আমি জুতার বক্স দিয়ে থাই গ্লাস ভাঙি। পরে সবাই সেখান দিয়ে বেরিয়ে বাইরে পানিতে গড়াগড়ি করে। সবাই শরীরেই আগুন ছিল।
শনিবার দুপুরে এভাবে ঘটনার বর্ণনা করেন ঘটনার সময় মসজিদের দ্বিতীয় তলায় থাকা পটুয়াখালীর গলাচিপায় হাজী মোহাম্মদ নসু খানের ছেলে মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
কাজের সন্ধানে নারায়ণগঞ্জে কিছুদিন আগে এসে এক মেসে উঠেন তিনি।
আমিনুল ইসলাম বলেন, নামাজের সময় আগেই আমরা গ্যাসের গন্ধ পেতাম। রুমে আমি ঢোকার পরেই বিস্ফোরণ হয়। পরে নিচে নামার পর সবার দেহেই আগুন দেখি। কী যে ভয়ংকর সেই দৃশ্য। সবাই যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। মৃত্যু যন্ত্রণা তারা দেখেছেন, আমরাই বাইরে থেকে দেখেছি। অসহ্য চিৎকারে আশপাশের মানুষ এসে আমাদের হাসপাতালে নেয়।
বক্তব্য দেওয়ার সময় দেখা যায়, তার চেহারায়ও দগ্ধ হওয়ার চিত্র। সড়কে পানি থাকায় ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুল্যান্স আসতে দেরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন মারা গেছেন। দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে আরও ৩৭ জনকে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসাধীন দগ্ধ মুসল্লিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।