কমছে সিলেটের নদ-নদীর পানি
গত কয়েকদিন ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কমতে শুরু করেছে সিলেটের নদ-নদীর পানি। ফলে উন্নতি হয়েছে বন্যার পরিস্থিতিরও। সিলেটের নদীগুলোর মধ্যে কেবল কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর সব নদীর পানি সবগুলো পয়েন্টেই বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ৬টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয় থেকে প্রেরিত দৈনিক পানির স্তর-সম্পর্কিত তথ্য থেকে এমনটি জানা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার জানান, সিলেটের দুই প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারার সঙ্গে বিভিন্ন শাখা নদীর মাধ্যমে মিলিত হয়েছে সীমান্ত থেকে নেমে আসা নদী সারী ও লোভা। সারী নদী জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলা হয়ে চেঙ্গেরখাল নদ দিয়ে সুরমায় মিশেছে। লোভা কানাইঘাট উপজেলায় মিশেছে সুরমা নদীর সঙ্গে। সুরমা নদীর বিভিন্ন শাখা নদী কুশিয়ারার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। সীমান্ত নদীতে পানি বাড়লে সুরমা ও কুশিয়ারার পানিও বাড়ে।
পাউবোর দৈনিক পানির স্তর-সম্পর্কিত তথ্যে (ডেইলি ওয়াটার লেভেল ডেটা) দেখা গেছে, সারী নদীর পানি সারীঘাট পয়েন্টে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১০ দশমিক ২৮ মিটার থেকে নেমে বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় ১০ দশমিক ০৪ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি কমার ধারা দেখা গেছে লোভা নদীতেও। কানাইঘাটের কাছে লোভার পানি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১৩ দশমিক ৫০ মিটার থেকে কমে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ১৩ দশমিক ২২ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সারী ও লোভার পানি কমায় সুরমা ও কুশিয়ারার পানিও কমছে। মঙ্গলবার সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১২ দশমিক ৩৭ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বুধবার সন্ধ্যায় ১২ দশমিক ১০ মিটার মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
এখনও বিপদসীমার ওপরে থাকলেও কুশিয়ারার ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানিও কমছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৯ দশমিক ৯১ মিটার থেকে নেমে বুধবার সকালে ৯ দশমিক ৮৭ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানির বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ মিটার।
এছাড়া বুধবার সন্ধ্যায় সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে ৯.৮৬, কুশিয়ারা নদীর পানি অমলসীদ পয়েন্টে ১৪.৬২, শেওলা পয়েন্টে ১২.২৬, শেরপুর পয়েন্টে ৮.২৫ ও ধলাই নদীর পানি ইসলামপুর পয়েন্টে ৯.৯৭ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।