ঐশ্বরিয়া রাই ও আরাধ্যাও করোনা আক্রান্ত
বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন ও তার ছেলে অভিষেক বচ্চনের পর এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই।
অভিষেক-ঐশ্বরিয়া দম্পতির একমাত্র কন্যাসন্তান আরাধ্যাও করোনা পজিটিভ। রোববার এনডিটিভি, আনন্দবাজারসহ ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়েছে, রোববার সকালে মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতাল জানিয়েছিল, অমিতাভ বচ্চন ও অভিষেকের স্যাম্পল টেস্টে করোনা পজিটিভ এলেও জয়া বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও তার মেয়ে আরাধ্যার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু দুপুরের পরপরই সেই স্টেটমেন্ট বদলে যায়!
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘শ্রীমতী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও তার কন্যা আরাধ্যা বচ্চনের নমুনায় করোনা পজিটিভ এসেছে। তবে শ্রীমতী জয়া বচ্চনের নমুনা নেগেটিভ। বচ্চন পরিবারের প্রতি শুভকামনা যেন সদস্যরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই টুইট বার্তার পর নানাবতী হাসপাতালের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কারণ একইদিন সকালে যাদের করোনা নেগেটিভ থাকে, দুপুরের পর কীভাবে সেটা পজিটিভ হয়ে যায়! অনেকেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর টুইটের মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘আসলে বচ্চন পরিবারের সবাই করোনা পজিটিভ ছিল, তথ্য গোপন করার জন্যই অমিতাভ বচ্চন স্বয়ং কিংবা নানাবতী হাসপাতাল মিথ্যাচার করেছে।’
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকালেই জানিয়েছে, ঐশ্বরিয়া, জয়া ও আরাধ্যার ফলাফল নেগেটিভ হলেও বিস্তারিত তথ্য তারা দুপুরের পর জানাবেন। অবশেষে মন্ত্রীর টুইট বার্তায় সেটা স্পষ্ট হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মূলত ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্যার অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। তবে পরে তাদের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।
এদিকে নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি অমিতাভ বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন দুজনেই ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা দু’জনেই এখনও ভালো আছেন। তাদের শরীরে মৃদু উপসর্গ থাকলেও অবস্থা স্থিতিশীল। নিজেদের জন্য ভক্ত ও দেশবাসীর কাছে আশীর্বাদ চেয়েছেন তারা। এর আগে শনিবার রাতে অমিতাভ বচ্চন নিজে টুইটারে তার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান।
এর কিছুক্ষণ পর একইভাবে অভিষেক বচ্চনও আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে টুইট করেন। গণমাধ্যমকে অমিতাভ জানিয়েছেন, তিনি বাইরে এখনও শুটিংয়ে না গেলেও তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই প্রস্তুতির জন্য শুটিং সংক্রান্ত বেশ কয়েকজন লোক তার বাসায় এসেছিলেন। তাদের কারও মাধ্যমে তিনি সংক্রমিত হতে পারেন।