নিষিদ্ধ দেশ তিব্বত
প্রকৃতির চমকার এই জায়গাটির* আছে মর্মান্তিক ইতিহাস। তিব্বতে তিব্বতিরাই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। সর্বসাকুল্যে চল্লিশ লক্ষ তিব্বতি নাগরিক পরাধীন জীবন যাপন করে। তাঁদের কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে রেখেছে চীন। চোমোলুংমা (এভারেস্টের স্থানীয় নাম)-র বেস ক্যাম্প, পৃথিবীর সর্বোচ্চ বৌদ্ধ মঠ— স্বায়ত্তশাসিত তিব্বতে কত আন্তর্জাতিক পীঠস্থান! অথচ সেখানেও পতপত করে উড়ছে উদ্ধত চৈনিক পতাকা। তিব্বতীয় চিহ্নমাত্র নেই। শুধু প্রার্থনা পতাকাগুলো উড়ছে বাতাসে।
চলচ্চিত্রকার Martin Scorsese এর বানানো Kundun মুভি দেখতে গিয়ে জানতে পারলাম আরেক ইতিহাস। ভারতে নির্বাসিত থাকা তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার ইতিহাস।
৬০ বছর আগে এই মার্চেই রাতের জমাট অন্ধকারে লাল ফৌজের লাল চক্ষু এড়িয়ে পথে নেমে পড়েছিলেন তিনি। অচেনা, অজানা রুটে। কপালে কী লেখা রয়েছে, তা না জেনেই। সঙ্গে ছিলেন বৃদ্ধা মা, বোন, ছোট ভাই আর তাঁর কয়েক জন অফিসার। হাঁটতে হাঁটতে পথে পড়ল ব্রহ্মপুত্র নদ। এ-পার থেকে ও-পারের দূরত্ব যার দেড় হাজার ফুট। সেই ব্রহ্মপুত্র পেরিয়েছিলেন তিব্বতি গরুর চামড়া দিয়ে বানানো ছোট্ট একটি নৌকায়। তারপর হিমালয়ের বন্ধুর পথে কখনও হেঁটে, কখনও পাহাড় ধরে উঠে-নেমে দলাই লামা শেষ পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন ভারতে। এখনো তিনি ভারতেই আছেন।
ভারত পৌঁছার আগের গল্প Kundun। দেখতে পারেন।
কিছু তথ্য দিয়ে রাখি।
-কুন্ডুন মুভির শুটিং এর সময় পরিচালক Martin Scorsese, লেখক Melissa Mathison সহ ৫০ জনকে তিব্বতে তখন ব্যান করা হয়েছিলো
-এ ছবির শুটিং তিব্বতে করতে দেয়া হয়নি। পরে পরিচালক মরক্কোতে এর শুটিং করেন।
*পোস্টে তিব্বতের প্রকৃতির কিছু ছবি দিলাম। পরাধীন এই রাজ্যটি শীঘ্রই স্বাধীন দেশে রূপান্তরিত হোক। মুক্তিকামী মানুষের জয় হোক।