চেয়ারম্যানের চাহিদা মেটাতে না পারায় ভাতা পাচ্ছেন না তারা

নিউজ ডেস্ক: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে সরকারি কার্ডধারী ৯ জনের বয়স্ক ভাতা বন্ধ রেখেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কয়েক দফা দোলারবাজার ইউনিয়নের মঈনপুর কৃষি ব্যাংকের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করলেও এর কোনো সমাধান এখনও পাননি তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বয়োবৃদ্ধ ১১ জনের বয়স্ক ভাতার কার্ড সরকারিভাবে ইস্যু করা হয়। তাদের বয়স্ক ভাতার কার্ডের প্রতিটি ছবিতে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের সিল-স্বাক্ষরও রয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে তাদের কার্ড ইস্যু করা হলেও তারা এখনও পর্যন্ত ভাতা পাননি।

গত বৃহস্পতিবার ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ভাতা প্রদানের কথা থাকলেও ১১ জনের মধ্যে ২ জনকে ভাতা প্রদান করা হয়। বাকি ৯ জনকে খালি হাতেই ফিরিয়ে দেয় ব্যাংক।

এই ৯ জন হলেন- জহুরা বিবি, বই নং-১১০৯৩ ও হিসাব নং-১৪২৩, ইন্তাজ আলী, বই নং-১১০৯৫ ও হিসাব নং-১৪২৫, কমরুন নেছা, বই নং-৬২২৪ ও হিসাব নং-১২৭২, এছন বিবি, বই নং-১১১০৪ ও হিসাব নং-১৪২৮, সবজান বিবি, বই নং-১১০৯৪ ও হিসাব নং- ১৪২৪, জয়ফুল বিবি, বই নং-১১১২২ ও হিসাব নং-১৪২৯, আহমদ আলী, বই নং-১১০৯৯ ও হিসাব নং-১৪২৭, নেকজান বিবি, বই নং-৬২১৮ ও হিসাব নং-১২৭১ ও ফুল তেরা বিবি, বই নং-১১০৯৬ এবং হিসাব নং-১৪২৬।

ভুক্তভোগী ৯ জনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সায়েস্থা মিয়ার অনৈতিক চাহিদা মিটাতে না পারায় তাদের ভাতা অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভাতা বঞ্চিতরা।

এ ব্যাপারে কৃষি ব্যাংক মঈনপুর শাখার ম্যানেজার ক্ষিতিশ রঞ্জন তালুকদার জানান, তাদের কার্ডে কোনো রকম জটিলতা নেই। শুধুমাত্র ইউপি চেয়ারম্যান সায়েস্থা মিয়ার নির্দেশে তাদের ভাতা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।

দোলারবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সায়েস্থা মিয়া জানান, তার নির্দেশেই এসব কার্ডধারীদের ভাতা আটকে রাখা হয়েছে। এসব কার্ড তার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হয়নি বলে তিনি ভাতা প্রদানের জন্য নিষেধ করেছেন।

এ ব্যাপারে জেলা সমাজ সেবা অফিসের উপ-পরিচালক সুচিত্রা রায় বলেন, সরকারের ইস্যুকৃত বয়স্ক ভাতার টাকা কোনো ইউপি চেয়ারম্যান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে পারেন না। আমি এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

এ বিভাগের অন্যান্য