লাগামহীন নিত্যপণ্যের পাগলা ঘোড়া
নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন থেকে বৃষ্টি হচ্ছে পুরো দেশে। সেই সাথে বাড়ছে সবজির দাম। শীতের আগাম কিছু সবজি বাজারে দেখা গেলেও চড়ামূল্যের ভয়ে সাধারণের চোখ সেদিকে যায় না।
এদিকে, নিত্যপণ্যের বাজারে পেঁয়াজ, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় আরও কয়েকটি পণ্যের দাম প্রায় এক মাস ধরেই চড়া। চলতি সপ্তাহে নতুন করে দাম বেড়েছে মাংস ও বিভিন্ন ধরনের সবজির। ফলে ভোগ্যপণ্যের বাজারে কোনো পণ্যের দামই ‘স্বস্তিকর নয়’ বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ ঘাটতির কারণে পাইকারি পর্যায়ে বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। তাই, খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে রসুনের দাম কিছুটা কমলেও চলতি সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম। আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি।
লিঘাটে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, বাজারে এখন সব পণ্যের দামই চড়া। নির্দিষ্ট করে কোনো পণ্যের কথা বলা যাবে না। এক কথায় বলতে হবে নিত্যপণ্যের কেনাকাটায় নাগরিকদের খরচ বেড়ে গেছে। এটা আসলেই কষ্টকর।
গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ১২০ টাকা থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে। তবে এই সপ্তাহে এই মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। লালবাজারের
একজন মুরগি বিক্রেতা বলেন, বাজারে মুরগির সরবরাহ কম। গত ২-৩ দিন ধরেই সারা দেশে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে সরবরাহ কমে যেতে পারে। বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকারও বেশি। মওসুমে নতুন করে আসা বরবটির দাম কেজিতে অন্তত ১০ টাকা কমে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুলা ও শিম। মুলার কেজি ৪০ টাকা এবং শিমের কেজি ১৩০ টাকা।
সবজি বিক্রেতা সাজিদ আলী বলেন, মিষ্টি কুমড়া ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম চড়া। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও পাইকারিতে দাম অনেক বেশি।
বাজারে করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, টমেটো ৯০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় গত কোরবানির ঈদের পর থেকেই বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। মাঝে এক সপ্তাহ দাম কিছুটা কমলেও গত দুই সপ্তাহ ধরে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
বর্তমানে খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়। একইভাবে আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায়। রসুনের দাম কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
চড়া মূল্যের এই সময়েও কিছুটা স্বস্তি রয়েছে মসুর ডালের দামে। বর্তমানে প্রতি কেজি মানভেদে ৬০ টাকা থেকে ১২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন মানের মসুর ডাল। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই দাম।