ধলাই নদীতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
নিউজ ডেস্ক:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাই নদীতে নিখোঁজ স্কুলছাত্র লক্ষ্মী নারায়ণের মরদেহ উদ্ধার করেছে সিলেট ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সে ধলই চা-বাগানের নারী চা শ্রমিক আছিয়া মাদ্রাজীর ছেলে এবং ইসলামপুর ইউনিয়নের ভান্ডারীগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
এর আগে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের দলই চা বাগান সংলগ্ন নদীতে ডুবে যায় লক্ষ্মী নারায়ণ।
ঘটনার পর এলাকাবাসী ধলাই নদের পানিতে নেমে স্কুল ছাত্র লক্ষী নারায়ণের মরদেহের সন্ধান পেলে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের সাহায্য কামনা করেছিল। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও তার লাশ উদ্ধার করতে পারেনি।
এরপর সিলেট ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ফয়েজ উদ্দীন ও রংপুর পিএন ৯৬০২ সংযুক্ত সিলেট ফায়ার স্টেশনের আবুল কালাম আজাদ, সহযোগী ডুবুরি আশিক মিয়া ও আব্দুল মোক্তাদির শনিবার সকাল সোয়া ৮টা থেকে অভিযান শুরু করে ২৫ মিনিটের মধ্যে ছাত্র লক্ষী নারায়ণের লাশ উদ্ধার করেন। এ উদ্ধার কাজে সার্বিক সহায়তা করেন কমলগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।
উদ্ধারকালে উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু, সাংবাদিক আসহাবুর ইসলাম, বিজিবি বীর শ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান সীমান্ত ফাঁড়ির তফিজুল আহমদ ও কমলগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক ফয়েজ আহমদের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা। লাশ উদ্ধারের পর উপ-পরিদর্শক ফয়েজ আহমদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল লাশের সুরতহাল তৈরি করেন।
উল্লেখ্য, দুই ভাই মিলে শুক্রবার দুপুরে ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধ এলাকা থেকে কলমি ঘাস কাটছিল। শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে আকস্মিকভাবে লক্ষী নারায়ণের হাত থেকে দা পড়ে যায় ধলাই নদের পানিতে। তখন সে নদ থেকে দাটি খোঁজে নামতে গিয়ে ক্রমে পানির নিচে ডুবে যায়।