কিন্তু পরদিনই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, এরকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী কেবল তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এবং ক্ষোভ প্রকাশের মধ্যে পার্থক্য অনেক। আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল হয়নি বলেই ধরে নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী কমিটি বাতিলের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেটি ছিল ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের জন্য শেষ সতর্কবার্তা। প্রধানমন্ত্রী এখনই ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল না করে পাঁচ শর্তে কমিটি রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদককে।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছে। তারা যে ভুলগুলো করেছে তা যেন শুধরায় সেই সুযোগটা আমরা দিতে চাই। যদি সেই ভুলগুলো তারা শুধরাতে না পারে তাহলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী পাঁচ শর্তে ছাত্রলীগের কমিটি রাখার পক্ষে মতামত দিয়েছে। শর্তগুলো হলো-

  • অভিযুক্ত যাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তাদেরকে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে বাদ দিতে হবে।
  • সারাদেশের যেখানে ছাত্রলীগের কমিটি নেই, সেখানে কমিটি গড়ে তুলতে হবে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ একক সিদ্ধান্তে কিছু করতে পারবে না। সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
  • ইতোমধ্যে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো এসেছে সে ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  • ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অতিথিদের দাওয়াত দিয়ে তাদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে। কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করলে সেটার আধাঘণ্টা আগে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে।
  • ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সব কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বা তার মনোনীত নেতৃবৃন্দের কাছে জানাতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী এক থেকে দুই মাস এই শর্তের ভিত্তিতে ছাত্রলীগের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হবে। সেক্ষেত্রে তারা যদি নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেন তাহলেই ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি টিকবে।

প্রসঙ্গত, গতরাতেও ছাত্রলীগের নেতারা দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেছেন।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল