রাতে কার্পেটিং, সকালে উঠে যাচ্ছে পিচ

নিউজ ডেস্ক: কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের বড়লেখার দক্ষিণভাগ বাজারে সংস্কার কাজ হলো রাতের আধাঁরে ও বৃষ্টির মধ্যে। এতে সকালেই গাড়ির চাকার সাথে উঠে যাচ্ছে রাতে করা রাস্তার পিচ। প্রায় দুই বছর ধরে খানাখন্দে দুর্ভোগ পোহানো এলাকাবাসী রাস্তার নিম্নমানের কাজে হতাশ ও ক্ষুব্ধ।

জানা গেছে, বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার সম্পুর্ন এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার একাংশের জনসাধারণের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মৌলভীবাজার-কুলাউড়া ভায়া চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়ক। ২০১৬ ও ২০১৭ সালের বন্যায় রাস্তাটির বিভিন্ন স্থান নিমজ্জিত থাকায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কোথাও পিচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। সে সময়ে সড়ক উন্নয়নের জন্য ৯৩ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। অধিকাংশ রাস্তা সংস্কারের টেন্ডার পায় সিলেটের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে রাস্তার সংস্কার কাজ সম্পন্ন না করায় প্রায় এক বছর জনসাধারণ ও যানবাহনকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

অবশেষে ২০১৮ সালের শেষ দিকে কাজ শুরু হয়। প্যাকেজের অধিকাংশ রাস্তার সংস্কার কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করলেও এ সড়কের মাইলেজ পিলার ৩৯ থেকে ৪১ এর মধ্যের অংশের সংস্কার কাজ ফেলে রাখা হয়। এতে রাস্তাটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের কারণে এসব স্থানে মাত্র ৫ কিলোমিটার বেগেও যানবাহন চালানো সম্ভব হয়নি। অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যার পর সড়কের দক্ষিণভাগ বাজারের উত্তর দিক থেকে সড়কের অভারলে শিলকোটের কাজ শুরু করা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত অন্ধকার ও বৃষ্টির মধ্যে কাজ চালিয়ে যান সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিনে বিভিন্ন স্থানের শিলকোটের পিচ গাড়ির চাকার সাথে উঠে যেতে দেখা গেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী খয়রুল ইসলাম, আব্দুল মনাফ, মনোয়ার হোসেন প্রমূখ অভিযোগ করেন শিলকোটে বড়সাইজের পাথর ব্যবহার করায় পিচে ফাঁক দেখা দিয়েছে। অন্ধকার ও বৃষ্টির মধ্যে পিচের কাজ করায় এবং ঠিকমত রুলার না দেয়ায় সাথে সাথেই তা উঠে যাচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের সেকশন অফিসার জহির উদ্দিন রাতের আধাঁরে সংস্কার কাজ করার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কাজের সময় তিনি সাইটে ছিলেন। তবে বৃষ্ঠি শুরু হলে কাজ বন্ধ করে দেন। সিডিউলে এক ইঞ্চি থিকনেস থাকায় রাস্তা কিছুটা অসমতল থাকতে পারে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইট ম্যানেজার ইউসুফ আহমদ জানান, সিডিউল অনুযায়ী রাস্তার সংস্কার কাজ করেছেন। পিচ উঠে যাওয়া অংশ পুনরায় মেরামত করে দিবেন।

এ বিভাগের অন্যান্য