বাসার পাশাপাশি নগরকেও ঝকঝকে রাখতে হবে: আরিফ

নিউজ ডেস্ক: সিলেট সিটি কর্পোরেশন নগরীতে আবারো মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় নগর ভবন থেকে বের হওয়া বর্ণাঢ্য র‌্যালি নগরীর কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা পয়েন্ট হয়ে আবুসিনা ছাত্রাবাস এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

এ সময় আরিফ বলেন, ‘মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মাধ্যেমে সিলেট নগরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করবো, এজন্য প্রতিটি নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সহযোগিতা পেলেই আমরা পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে পারবো।’

মেয়র বলেন, ‘নিজের বাসা-বাড়ি যেমন ঝকঝকে রাখেন, তেমননি নগরকেও ঝকঝকে রাখতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না। নির্ধারিত স্থানে ও ডাস্টবিনে ময়লা-আবর্জনা সংরক্ষণ করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীরা এসে সেসব ময়লা-আবর্জনা নিয়ে যাবে। বাড়ির আশেপাশে কোথাও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখলে আমাদের চালু করা হটলাইনে আপনারা কল দিয়ে জানাবেন। তাহলে আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে পরিষ্কার করে দেবে। বর্জ্য অপসারণে নগরবাসীর জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখায় যোগাযোগ করতে হবে।’

আরিফ বলেন, ‘কোরবানীর পশুর হাট তদারকি করতে ইতিমধ্যে চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা নগরীর প্রতিটি পশুর হাট তদারকি করবেন। পশুর হাটে রোগাক্রান্ত পশু বিক্রি করা যাবে না। রোগাক্রান্ত পশু বিক্রি করলে তাৎক্ষণিক পশু জব্দসহ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

র‌্যালিতে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায়, কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সন্তু, মহিলা কাউন্সিলর নাজনীন আক্তার কনা, শাহানারা বেগম শানু, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন, এসএমপির কোতোয়ালী থানার সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল মিয়া, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, আব্দুল আজিজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান, কর কর্মকর্তা রমিজ উদ্দিন, এসেসর চন্দন দাশ, ইউএনডিপি’র কর্মকর্তা, সিডিসি নেত্রীবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ নগরীর সচেতন নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন।

পরে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগী এবং চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি সিসিকের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু রোগের ঔষধ ক্রয়ের জন্য নগদ এক লাখ টাকা প্রদান করেন। পরে মেয়র হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও আশপাশ ঘুরে দেখেন।

এ বিভাগের অন্যান্য