সিলেটে কনেস্টবল নিয়োগে দুর্নীতির চেষ্টা: পুলিশ সদস্য আটক

নিউজ ডেস্ক: সিলেটে কনেস্টবল নিয়োগে দুর্নীতির চেষ্টা এবং প্রার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রবিবার ১ পুলিশ সদস্যকে গোয়াইনঘাট থেকে আটক করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নায়েক মো: খোরশেদ আলম মায়ের অসুস্থতার কথা বলে ১০দিনের ছুটি নিয়ে গোয়াইনঘাটে যায়। পূর্ব থেকে ঠিক করা এলাকার ৭ যুবককে কনেস্টবল পদে নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলে তাদের প্রত্যকের কাছ থেকে দুই আড়াই লাখ টাকা গ্রহন করে এবং সিলেট নিয়ে আসে। তাদেরকে একটি বাসা ভাড়া করে রাখে এবং পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুত করে। এই যুবকরা হলেন, মাসুক আহমেদ,আব্দুল মতিন সবুজ,জাকারিয়া রব্বানি,রুবেল আহমদ,বাবুল মিয়া,ইসমাইল হোসেন। তাদের সকলের বাড়ি গোয়াইনঘাটে।
এদের মধ্যে থেকে ৫ জন লিখিত-মৌখিকসহ সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গেলে তাদের কাছ থেকে বাকী টাকা আদায়ের জন্য খোরশেদ চাপ সৃষ্টি করে।
এদিকে সিলেটের নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন সিলেট এসেই ঘোষণা দেন কনেস্টবল নিয়োগের ক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে। তিনি থানায় থানায় গিয়ে মাইকিং এবং এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেন যাতে কেউ বিভ্রান্ত না হয়।
পুলিশ সুপার তার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কনেস্টবল নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখেন।

স্বচ্ছতার বিষয়টি যুবকরা বুঝতে পেরে তাদের টনক নড়ে। তারা বুঝতে পারে তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে নায়েক মো: খোরশেদ আলমের কোন ভূমিকা নেই। তারা তাদের মেধা এবং যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

বিষয়টি তারা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের নজরে আনলে পুলিশ সুপার দ্রুত খোরশেদকে আটকের ব্যবস্থা গ্রহন করেন। বর্তমানে নায়েক মো: খোরশেদ আলম জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় রয়েছে। তাকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য