বাস্তবতার সাথে প্রতিশ্রুতির মিল রেখে কাজ করার প্রত্যয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী পিযূষ কান্তি দে

মবরুর আহমদ সাজু :
আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন কে সামনে রেখে সিলেটে  এখন নির্বাচনী উত্তাপ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অলি গলিতে র্নিবাচনী কথা আর কথা।চলছে পছন্দের পার্থী নিয়ে তুমুল বিশ্লেষণ। অনলাইন দৈনিক সিলেটের সময়ের ধারাবাহিক ওয়ার্ড পরিক্রমায় উঠে আসে সিলেটের অলি গলির উন্নয়ন,সম্ভাবনা, প্রত্যাশ ও প্রতিশ্রুতির কথা। এছাড়া রাজনীতিবিদ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তত্বিসহ মেয়র, কাউন্সিলর নবীন প্রবীণ শিক্ষক শিক্ষর্থীদের মতামত তুলে ধরা হয়। এবার তারই ধারাবহিতায় নগরীর ১২নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেছেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য ও বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থীরা । নির্বাচনকে সামনে রেখে নগরীর অন্যান্য ওয়ার্ডের মতো এই ওয়ার্ডে ও লেগেছে নির্বাচনী হাওয়ায় পছন্দেও প্রার্থী নিয়ে চলছে বিশ্লেষন গেল নির্বাচনে অনেক জনপ্রতিনিধি প্রত্যাশার সাথে প্রতিশ্রুতির মিল নেই এমন অভিযোগও জানান ভোটাররা। তবে জনপ্রিতিনিধিরা এসব অভিযোগ মানতে নারাজ বলছেন উন্নয়ন হয়েছে যথেষ্ট । এলাকাবাসী জানান, এবার ভোট প্রয়োগে ভোটারগণ থাকবেন সচেতন। সঠিক উন্নয়নের স্বার্থে সঠিক প্রার্থীকে ভোট দেবেন তাঁরা। দলীয় প্রভাব পড়বে ওয়ার্ডে , সুতারাং এই যখন বাস্তবতা তখন ।দীর্ঘদিনপর সিসিক নির্বাচন আসায় এবার নির্বাচনী মাঠে নামছেন সিলেটের আলোচিত পীযূষ কান্তি দে। কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চান তিনি। জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি জনসেবা করতে চান এ নিয়ে চালাচ্ছেন প্রস্তুতিও। তার এই নির্বাচনি প্রস্তুতি যেমনি রয়েছে উৎসবের আমেজ তেমনি প্রত্যাশার সাথে প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতার মিল রেখে দলমত নির্বিশেষে গুণেধরা ওয়ার্ডকে সুন্দও করার প্রত্যাশা ব্যক্তকরেন পিযুষ কান্তি দে। তার আরেকটি পরিচয় রয়েছে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, মদন মোহন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ সিলেট জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি। পিযুষ নামটি সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনের এক লড়াকু সৈনিকের নাম, দেশ পেরিয়ে বিদেশের মাঠিতে ও এই তরুণ রাজনৈতিক পিযুষের নাম সমাধিক উচ্চারিত হয় কেবল নিবেদিত রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্যে, কখনো একাহেটে কখনোবা দলবেধে মিছিলের সামনে বুলেট কে উপেক্ষা করে তিনি রাজনীতি করেন। অনেক দিন পর জনপ্রতিনিধি হবার প্রত্যাশার কথা জানালে তাকে নিয়ে এলাকার নবীণ প্রবীণ ভোটারদের মধ্যে মধ্যে বইছে অন্যরকম সতন্ত্র চাওয়া। সরেজমিনঘুরে ওয়ার্ডে বিএনপি আওয়ামী লীগ ও সতন্ত্র সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন বেশ জোরেশোরেই। প্রার্থীদের কেউ ভোট ও দোয়া কামনা করে টানিয়েছেন নানা রঙের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন। নির্বাচন নিয়ে একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে তাঁর অবস্থানে থেকে কাজের নীতি-আদর্শকে সামনে রেখে সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেবেন এ কারনেই নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। পীযূষ কান্তি দে- এর বাড়ি ভাঙ্গাটিকর শেখঘাট এলাকায়। তিনি ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। নির্বাচন করলে ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তিনি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও ওয়ার্ডবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করে চলেছেন। প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে পীযূষ কান্তি দে জানান, ‘আমি আজীবন জনসেবা করে সাধারণ জনগণের মাঝে সেবক হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই। সকল স্তরের মানুষের সঙ্গে সমানতালে চলতে চাই। তিনি বলেন আমি সনাতন বলে কি মানুষের ভোট আশা করতে পারি না। আমি সকল মানুষের সকল সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করতে চাই এলাকাবাসী আমাকে মূল্যায়ন করলে আমি এ ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়ে ওয়ার্ডকে একটি আধুনিক ও মডেল ওয়ার্ডে পরিণত করবো। আর এজন্য আমি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডবাসীর কাছে সমর্থন, দোয়া ও আশীর্বাদ চাই।’ তিনি বলেন, ‘১২নং ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণের পাশে থেকে তাদের সুখে দুঃখে সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে নিষ্ঠা ও নিরলসভাবে কাজ করে যেতে চাই।’ সিলেটের ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এবং পরবর্তীতে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পীযূষকে নিয়ে এলাকায় তেমন কোনো ক্ষোভ নেই। বরং এলাকায় তিনি সবার কাছে প্রিয়জন হিসেবে পরিচিত। পীযূষ যে পাড়ায় বসবাস করেন সেই পাড়ার সনাতন সম্প্রাদায়ের লোকজন তার কারণে স্বস্তিতে রয়েছেন। শেখঘাট এলাকার শাহরিয়ার হাসান বলেন ৩৬০ আউলিয়ার পূণ্যভূমি খ্যাত শাস্তির নগরী পবিত্র সিলেটে যখনই স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জামাত-বিএনপি অস্থিরতা শুরু করে ঠিক তখনই তাদের প্রতিহত করতে বারবার একটি নাম আলোচনায় চলে আসে। যে মানুষটি কখনোই নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে দলীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য বারবার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি আর কেউ নন, উনি আমার নেতা পিযুষ কান্তি দে’ দাদা। তার জয়ে ওয়ার্ডবাসীর উন্নয়নের হাতছানি। খুলিয়াটুলার শিক্ষার্থী কামাল বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে আগামী ৩০শে জুলাই অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১২ নং ওয়ার্ডে শ্রদ্ধাভাজন নেতা পিযুষ কান্তি দে দাদাকে আওয়ামীলীগের মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মীম আহমেদ বলেন রাজনীতিতে কেউ শান্ত মেধাবী,সংগঠক, আবার কেউ দুঃসাহসী,বিপ্লবী, । এই উভয় ধরনের গুনাবলীর সংমিশ্রণ খুব কম। কিন্তু এই উভয় ধরনের গুনাবলী নিয়ে,অপূর্ব এক সংমিশ্রনে,সিলেটের রাজপথে তৃণমূল থেকে গড়ে উঠা নেতা হলেন পিযুষ কান্তি দে। তাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চাইআব্দুর রহমান লিমন বলেন ১২নম্বও ওয়ার্ডে পিযূষের মতো মানুষ বড় প্রয়োজন। কাজির বাজার এলাকার ভোটার শেখ লিমন বলেন আমি ২০১০ সালের একটি ঘটনা বলছি যা আমার নিজে চোখে দেখা এবং নিজ হাতে দেওয়া, মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ফাইনাল পরীক্ষার্থী ৪/৫জন যাদের রেজিস্ট্রেশন করার মত হাতে টাকা ছিলনা। ঠিক ওই সময় া পিযুষ কান্তি দে নিজের গলার সোনার চেইন বিক্রি করে,ওই ছেলেদের রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করেন। সুতারাং বলতেই পারি এমন জনপ্রতিনিধি এলাকায় বড্ড প্রয়োজন। সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজল জানান নগরীর ১২ নম্বও ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড গড়তে পিযূষ কান্তির বিকল্প নেই সুতারাং তিনিই যোগ্যপ্রার্থী হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে বিশ্বাস রাখি। ছাত্রলীগ নেতা ইমরান খান বলেন আমার নিজ চোখে দেখা শ্রদ্বাভাজন দাদা এখনো অনেক গরিব পরিবারের ছেলেদের প্রতিদিনের খাবার দিয়ে যান , যিনি কখনো নিজের ভবিষ্যৎর কথা চিন্তা করেন না। দাদা পিযুষ কান্তি দের মতো একজন মানুষ যদি ১২ নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি হতে পারেন তাহলে মনে হয় ১২নং ওয়ার্ডে কোন গরিব মানুষ না খেয়ে মরতে হবে না।

এ বিভাগের অন্যান্য