লালবৃত্তের সবুজ পতাকা আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক-সুবিনয় রাজু

  •  লালবৃত্তের সবুজ পতাকা আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে, ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয়ের চেতনা ধারণ করেই পথ চলছে আজকের তরুণ প্রজন্মর বিজয় ভাবনা নিয়ে লিখেছেন   সুবিনয় রাজু বিজয় উৎসবকে ঘিরে তারম্নণ্যআসলে বিজয় দিবসের রং বলতে লাল-সবুজকেই বোঝায়। পোশাক অন্য রঙের হলেও লাল-সবুজের ছোঁয়া তাতে থাকতেই হবে। পোশাকে না হোক, ওড়না, ব্যান্ড, ব্যাগ অথবা অলঙ্কারে থাকা চাই লাল-সবুজের ছোঁয়া। বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে বাঙালি তরম্নণ-তরম্নণীরা সেজে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়।  প্রতিবছরই ১৬ ডিসেম্বর আসে বিজয় দিবসের মহান তাৎপর্য নিয়ে  বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আর চেতনা বুকে ধারণ করে বিজয় উৎসবকে রাঙিয়ে তুলতে চায় ভিন্ন আমেজে। জাতীয় এ উৎসব ঘিরে সচেতন তারুণ্য কথা বলেছেন  একটি সার্থক জীবনের প্রথম সোপান হতে পারে একটি স্বপ্ন- যে স্বপ্ন আশার পথ দেখায়, সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়। আমাদের তরুণ প্রজন্ম স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশকে নিয়ে। পৃথিবীতে যাঁরা বড় হবার স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁদের অনেকের নাম আজ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। স্বপ্নের সঙ্গে সাধনা যোগ হলে রচিত হয় সাফল্যের গল্প। নতুন বছর তাহলে চলেই এল । এভাবেই প্রতিটা নতুন দিন আমাদের মাঝে চলে আসছে । চলে আসার পর মনে হয় আরে চলে এলো তো ! তখন শুরু আবার নতুন করে পথ চলা । নতুন ভাবনা নতুন পথ আর নতুন সঙ্গী নিয়ে । আবার পুরানো সেই পথটাকেও অনেকেই নতুন করে সাজিয়ে নেয় নতুন ভাবনা গুলো দিয়ে । নতুন বছরকে ঘিরে সবার কিছু পরিকল্পনা থাকে । কিছু ভাবনা থাকে । নিজেদের জীবন, পরিবার নিজেদের বন্ধুবান্ধব কিংবা কর্ম ক্ষেত্রকে নিয়ে । নতুন বছরে সবাই সব কিছু নতুন ভাবে চায় নতুন ভাবে ভাবতে ভালোবাসে । পুরানো বছরের ভুল গুলোকে পেছনে রেখে নতুন পথ চলার নামই তো জীবন !আসি আসি করে অবশেষে ডাক দিয়েছে বিজয় দিবসের যোগ হয়েছে নতুন বছরে নতুন মাত্রা তাকে নিয়ে তরুণ প্রজন্মর যেমন আগ্রহ বাড়ছে তেমনি অনেক স্বপ্ন ও সম্ভাবনা নিয়ে প্রতি বছর আবারো আমাদের মাঝে এলো আরো একটি নতুন বছর। একটি বছরের সমাপ্তি তো অনেকাংশেই একটি ইতিহাসের সমাপ্তি। নববর্ষের নতুন প্রভাত। নতুন বছর মানে নতুনের আবাহন। নতুন করে স্বপ্ন দেখা। জীর্ণ ও পুরাতনকে বিদায় জানানো এবং নতুন বছরের শুভাগমনে দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করা । নবীন শতাবদ্ধীর প্রত্যাশা কত কাল হয়ে গেল কুয়াশার চাদর সড়িয়ে স্বাধীন বিজয়ের নতুন ৪৬ঠি লাল সূর্যোদয় হয়েছে । নবীনের ডাকে জীর্ন বেড়াজাল পেছনে ফেলে এসেছে নৈাযান? আজ ও পশ্চিম থেকে নতুন সুর্যের গালিচায় আসি আসি করে অবশেষে দোয়ারে কড়ানাড়ছে নতুন বছর। স্বাগতম হে নবীন সুর্যের আলো। শতাবদ্ধীর প্রত্যাশা পুরনের আজ ডাকে তুমার সুরের মুর্ছনায় তবে আশা যে কত কালের কেউ জানে কেউ জানেনা ? শতাবদ্ধীর প্রত্যাশা কত স্বপ্নের আকুতি । এবারের নবীন বছরের প্রত্যাশা বহুবছর পরিবর্তনে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। লাল নীল আকাশে ফুলের মালায় নবজাগরনের আলো উদিত হবে প্রানের আুঙিনায়। প্রতাশার ফুলঝুড়ি হোক মানবতার আড্ডায় । তবে নতুন বছরের সাথে রয়েছে বিজয় দিবসের ভবনা শুরু হলো বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবময় মাস ডিসেম্বর। এ মাসেই বাঙালি পেয়েছিল তার বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। মাসব্যাপী উৎসাহ-উদ্দীপনায় এবং নানা কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ পালন করবে বিজয়ের মাসটি। প্রতিদিনই নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করবে এবং তাদের মাগফেরাত কামনা করবে। ঘৃণা-ধিক্কার জানাবে স্বাধীনতার শত্রু এদেশীয় রাজাকার, আলবদর ও মানবতারশত্রু যুদ্ধাপরাধীদের। ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা, পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়ে ৯ মাসের ত্যাগ তিতিক্ষার পর পৃথিবীর বুকে এ মাসেই রচিত হয়েছিল এক অমর গাথা– বাঙালির স্বাধীনতা, একটি মানচিত্র, একটি পতাকা। ১৬ ডিসেম্বর এবারের আয়োজনে তরুণ প্রজন্মদের বিজয় দিবস প্রত্যাশা বেশি এবং নতুন বছর কে নিয়ে ভাবনা ভিন্ন। চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ লালন করে বাংলা নববর্ষের এমন নতুন বছরে তরুন প্রজন্মর প্রত্যাশা জানালেন তরুন তরুণ প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা, চেতনার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। তাদের দেশকে জানার, দেশকে ভালোবাসা, দেশের জন্য কিছু করার আগ্রহ কতটুকু তার ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ। বিজয় দিবস নিয়ে ভাবনার কথা লিডিং ইউনিভার্সটির জান্নাতুল ফেরদৌস তারিন বলেন, ‘আমরা তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। বাংলাদেশের ইতিহাস জানার নির্ভরযোগ্য কোনো মাধ্যম নেই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে একেক সময় একেকজন একেক রকম কথা বলে। আমরা কার কথা বিশ্বাস করব।’ ইন্টার ন্য্শানাল ইউনিভার্সটির মৌ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আমরা তরুণ প্রজন্ম জানতে পারি খুব কম। যাতে কোনো ইতিহাস হারিয়ে না যায়। মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শীরা দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে কালের গর্ভে। এ ইতিহাস সাক্ষীরা না থাকলে আমরা কার কাছ থেকে প্রকৃত ইতিহাস জানব? দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে প্রচুর বই লেখা উচিত। যুগ যুগ ধরে তরুণ প্রজন্ম এ ইতিহাস জেনে দেশকে ভালোবাসতে শিখবে।’ এরপর কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে মানবতাবিরুধী প্রসঙ্গ। এমসি কলেজের আশরাফুল ইসলাস অনি বলেন, ‘যতদিন না আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারব, ততদিন পর্যন্ত শহীদ যোদ্ধা, নিহত নিরীহ বাঙালি, লাঞ্ছিত মা-বোনদের প্রতি অসম্মান জানানো হবে । এদিকে নতুন বছরের ভাবনায় সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সুবিনয় আচার্য়্য রাজু বলেন নববর্ষের উৎসবে আনন্দোল্লাস হবে, এটি স্বাভাবিক। এবং উল্লাসের যে একটা সূচি থাকবে, ধারাবাহিকতা থাকবেÑ তা হয়তো যথার্থভাবে অনুসৃত নাও হতে পারে। কেননা বদ্ধ গহ্বর থেকে মানুষ যখন বেরিয়ে আসে, আলোকস্নাত পৃথিবীতে সঙ্গীসাথী সাথে হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ওঠে, তখন আর নিয়মানুবর্তিতা মেনে নিতে পারে না। মবরুর আহমদ সাজু বলেন নতুন বছর হোক জাতির আলোর দিশারিকুয়াশার বুক চিরে টকটকে লাল সূর্যটা নিয়ে এলো নতুন দিনের বার্তা। শিশিরভেজা দূর্বাঘাস আর লাউয়ের ডগাগুলো লকলকিয়ে স্বাগত জানায় নতুন বছরকে। স্বাগতম ইংরেজি নববর্ষ ২০১০। নতুন বছর মানেই নতুন আনন্দ। নতুন পরিকল্পনা। দিনপঞ্জির পাতা বলে দিলো ৩৬৫ দিন শেষ। বিদায় নিয়ে গেল ২০০৯ সাল। শুভ আগমন ২০১০। তাই তো ঊষার আকাশে নতুন দিনের আলোকচ্ছটা। আনন্দে মাতবে গোটা দুনিয়া। পুরনো দিনের সব স্মৃতি পেছনে ফেলে আমরা পা রাখছি নতুন দিনের উঠানে। দেখতে দেখতেই তো সব কিছু শেষ হয়। সত্যিই বিদায় বড় ব্যথার। কেমন করে যে একটি বছরের ১২টি মাস, ছয়টি ঋতু, ৫২ সপ্তাহ, ৩৬৫ দিন, আট হাজার ৭৬০ ঘন্টা, ৫ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ মিনিট এবং তিন কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার সেকেন্ড পেরিয়ে আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গেল টেরই পাওয়া গেল না। গেল বছরে বাংলাদেশ অনেক পেয়েছে, আবার হারিয়েছেও অনেক। শাহরিয়ার রআজিজ রাহি বলেন নতুনকে স্বাগত জানাতে মানুষের উদ্দীপনা সবসময়। নতুনের মধ্যে নিহিত সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ নেয় নিকট অতীত অথবা সুদূর অতীত থেকে নেয়া শিক্ষা থেকে। তাই নতুন সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়ন করার সুযোগ করে দিতে এল নতুন বছর।
এ বিভাগের অন্যান্য